“এরা আর পথশিশু নয়—মজার ইশকুলের ১৩ বছরের ইতিহাস”

 

Uffffffffff…

13 years.

It still feels unbelievable. What a terrifying, extraordinary journey this has been.

A child who was supposed to grow up on the streets—that child is now saying after the exam, “I’m in Class Ten — passed or failed.”
Reaching Class Ten itself is the victory. Even failure can be a celebration, because failure here means something else—an identity of inclusion. If this free Mojar School :: Mojar School didn’t exist, all of them would have become laborers.
No—it's not that simple.

Many would have fallen into drugs. Some into crime.
So even if someone fails today, it is still a joy for us—because in the hardest exam of life, we have scored 100 out of 100:
none of them took the wrong path.

Just imagine—working for 13 years with only local community support, sustaining it, and showing real results—how unbelievably difficult this is!
We have done this hardest part for the days we are living now.

This is history.
Not a project-based foreign-funded journey.
Only 2–3 corporate partners stand beside us—
and the rest of everything has been built by individual support from the people of Bangladesh.

Our main goal now is to ensure dignified jobs for these boys and girls—whether they pass or fail their SSC exams.

People often forget—Mojar School wasn’t born to become the “best school.”
We were born to build a Bangladesh free from street children.
In that journey, we are moving forward with success. The ultimate goal is ensuring income and financial stability for each child.
Before that comes skills—training for 3, 6, and 12 months.
Then at least one year of intensive follow-up so they can survive in professional life.

Now think—how crazy humans must be to risk their own lives on an uncertain path for someone else’s future.
Some of our “crazy ones” gave up, some are still fighting, and we are searching for more of those beautiful “crazy souls.”

Because without such crazy people, the world doesn’t move.

Being the reason for someone’s smile is big—
but becoming part of a journey that transforms an entire life—this is far, far bigger.

I know—after the SSC results, people will judge us based on pass or fail.
But the truth is—we have no chance to fail,
but we have countless chances to do better.

Any child who completed Class One to Class Ten with us—pass or fail—is no longer a street child.

Our slogan:

We want to write only ‘child’ —
and erase the word ‘street child’ forever.

We are standing at the doorway of writing only “child.”
This is the victory of our 13 years of struggle.
Let Bangladesh know—its youth have patience, they don’t lose their way, they stay focused on the mission.

We’ll meet again—
with new dawn,
with the stories of these children entering their first jobs.

Maybe not tomorrow.
But very soon.

Stay with Mojar School :: Mojar School.

উফফফফফফফফফফফফফফফফফ…

১৩ বছর।

কি যে অবিশ্বাস্য লাগে। কি ভয়ংকর এক যাত্রা।

যে শিশুটির রাস্তায় রাস্তায় বড় হওয়ার কথা, সেই শিশু আজ এই পরীক্ষার পর বলবে—“ক্লাস টেন পাস বা ফেল।” টেন পর্যন্ত পড়ছি—এটাই তো সবচেয়ে বড় অর্জন। এমনকি ফেল করাও আনন্দের হতে পারে; কারণ ফেল মানে ব্যর্থতা নয়, এটা একাত্ম পরিচয়ের প্রমাণ। যদি এই ফ্রি মজার ইশকুল :: Mojar School না থাকত—এরা সবাই আজ শ্রমিক হতো!
না, ব্যাপারটা এত সহজ না।

এদের অনেকে মাদকে হারিয়ে যেত, কেউ ক্রাইমে চলে যেত। আজ যদি কেউ ফেলও করে—সেই ফেল আমাদের জন্য আনন্দের, কারণ জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় আমরা শতভাগ নম্বর পেয়ে পাশ করেছি—এরা কেউ ভুল পথে যায়নি।

চিন্তা করতে পারেন—লোকাল মানুষের সাপোর্ট নিয়ে ১৩ বছর কাজ করা, সেটাকে ধরে রাখা, ফলাফল নিয়ে আসা—এটা কত কঠিন কাজ? এই কঠিনতম কাজটাই করেছি আজকের দিনগুলোর জন্য।

এটা ইতিহাস। প্রোজেক্ট-বেজড কোন বিদেশী ফান্ড না। হাতে গোনা ২–৩টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান আছে আমাদের পাশে—আর বাকিটা পুরোটাই ব্যক্তিগত পর্যায়ের মানুষের ভালবাসা।

এই টেন পাস বা ফেল ছেলে-মেয়েদের সম্মানজনক কাজের ব্যবস্থা করাই এখন আমাদের মেইন গোল।

অনেকে ভুলে যায়—সেরা স্কুল হওয়ার জন্য মজার ইশকুল জন্ম নেয়নি। আমাদের জন্ম হয়েছে পথশিশুমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য। সে যাত্রায় আমরা সফলভাবে এগোচ্ছি। চূড়ান্ত লক্ষ্য—আয় নিশ্চিত করা।
তার আগে দক্ষতা তৈরি করা—৩, ৬, ১২ মাসের প্রশিক্ষণ আয়োজন করা। অন্তত ১ বছর নিবিড়ভাবে ফলো-আপ করা যাতে তারা প্রফেশনাল লাইফে টিকে যেতে পারে।

এবার ভাবুন—মানুষ কতটা পাগল হলে অন্যের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে অনিশ্চিত পথ ধরে হাঁটে?
আমরা কিছু পাগল হাল ছেড়েছি, কিছু পাগল এখনো চালিয়ে যাচ্ছি—আর আরও কিছু পাগল খুঁজে চলেছি।

পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না।

অন্যের মুখের হাসির কারণ হওয়া এক ব্যাপার, কিন্তু জীবন পাল্টে দেওয়ার যাত্রা আরও অনেক বড় ব্যাপার।

আমি জানি—এসএসসি পরীক্ষার পর পাস–ফেল দিয়ে আমাদের বিচার করা হবে। কিন্তু সত্য হচ্ছে—আমাদের ফেল করার সুযোগ নেই; বরং ভালো করার অসংখ্য সুযোগ আছে।
যে শিশু ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টেন শেষ করলো—পাস বা ফেল—প্রত্যেকেই আর পথশিশু নয়।

আমাদের স্লোগান:

লিখতে চাই শুধু শিশু, মুছে দিতে চাই পথশিশু।

আমরা শুধু ‘শিশু’ লেখার দ্বারপ্রান্তে। এ আমাদের ১৩ বছরের লড়াইয়ের বিজয়।
বাংলাদেশের মানুষ জানুক—তরুণদের ধৈর্য আছে, তারা পথ হারায় না, তারা লক্ষ্যে অবিচল।

দেখা হবে নতুন ভোরে—
এই শিশুদের চাকরি জীবনের গল্প নিয়ে।

হয়তো আগামীকালই না, কিন্তু শিগগিরই।

সাথেই থাকুন মজার ইশকুল :: Mojar School এর।