Snapchat সিইও'র পডকাস্ট দেখে আমি যা জানলাম তা সবার সাথে শেয়ার করছি।
১. যদি কোনো বড় প্রতিযোগী আপনাকে নকল করে, তার মানে আপনি সঠিক পথেই আছেন। আরও কঠোর পরিশ্রম করুন।
২. যখন ইনস্টাগ্রাম 'স্টোরিজ' নকল করলো, স্ন্যাপচ্যাট (স্ন্যাপ) ঘাবড়ে যায়নি। সিইও স্পিগেল এটাকে হার হিসেবে না দেখে, নিজের ধারণার স্বীকৃতি হিসেবে দেখেছেন।
৩. স্পিগেল মনে করেন, বেশিরভাগ মানুষ 'বাকস্বাধীনতা' এবং 'প্ল্যাটফর্ম ডিজাইন'কে গুলিয়ে ফেলে। প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার (এবং দায়িত্ব) আছে।
৪. কোম্পানি বড় হওয়ার সাথে সাথে প্রতি ৬ মাস অন্তর নিজেকে পরিবর্তন করাটাই ছিল স্পিগেলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৫. আপনার টিমের যা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী নিজেকে দ্রুত পরিবর্তন করার যুদ্ধটা সবসময় নিজের সাথেই।
৬. কর্মী ছাঁটাই (Layoffs) হলো সবচেয়ে খারাপ দিন। এটা সংবাদের শিরোনাম হওয়ার জন্য নয়, বরং আপনি মানুষজনকে হতাশ করেছেন, এই অনুভূতির জন্য।
৭. স্পিগেল এক ধরনের নেতৃত্বে বিশ্বাসী নন। তিনি প্রত্যেক টিম মেম্বারের সেরাটা বের করে আনার জন্য নিজের নেতৃত্ব পদ্ধতি পরিবর্তন করেন।
৮. মনোযোগ (Focus) একটি সুপারপাওয়ার। "আপনাকে 'না' বলতে পারায় খুব দক্ষ হতে হবে, বিশেষ করে যখন আপনার কোম্পানি ছোট।"
৯. স্ন্যাপচ্যাটে মিনি-গেমগুলো জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু সেগুলো বড় পরিসরে চালানো (স্কেল করা) যাচ্ছিল না। তাই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১০. স্ন্যাপচ্যাট অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও বিনিয়োগ করে, এমনকি যদি তাতে শেয়ারের দাম কিছু সময়ের জন্য কমেও যায়।
১১. AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-এর আসল ক্ষমতা শুধু উত্তর দেওয়া নয়, বরং মানুষকে আরও ভালো প্রশ্ন করতে শেখানো।
১২. স্পিগেল ভয় পান না যে AI সৃজনশীলতাকে প্রতিস্থাপন করবে। তিনি এটিকে ফিডব্যাক পেতে, নতুন কিছু খুঁজতে এবং দ্রুত কাজ উন্নত করতে ব্যবহার করেন।
১৩. মহামারীর পরে স্ন্যাপচ্যাট অফিসে ফিরে আসে। কেন? কারণ রিমোট কাজের ফলে কোম্পানির সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছিল।
১৪. রিমোট কাজ কোভিডের সময় "কাজ করেছিল" কারণ আগে থেকেই একটি মজবুত বিশ্বাস তৈরি করা ছিল। নতুন কর্মীরা সেই ভিত্তি ছাড়া সমস্যায় পড়ছিল।
১৫. টিকটক তার (স্পিগেলের) বাড়িতে নিষিদ্ধ। "এটা আসক্তির মতো। আমি এটা ব্যবহারই করি না।"
১৬. একটি পাবলিক কোম্পানি হওয়ায় স্ন্যাপচ্যাটকে আরও সুশৃঙ্খল হতে হয়েছে। ত্রৈমাসিক চাপ = ভালো পরিচালন শৃঙ্খলা।
১৭. কিন্তু শেয়ার বাজার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকে সমর্থন করে না, বিশেষ করে যখন সুদের হার বেশি থাকে। স্ন্যাপচ্যাট তবুও বিনিয়োগ করে।
১৮. স্পেক্টাকলস (স্ন্যাপ এআর গ্লাস) একটি দীর্ঘমেয়াদী বাজি। শেখার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য বর্তমান সংস্করণগুলো ডেভেলপারদের হাতে দেওয়া হয়েছে।
১৯. "প্রযুক্তি প্রথমে ধীরে ধীরে বদলায়, তারপর হঠাৎ করেই সব বদলে যায়।" আপনি সঠিক হয়েও ১০ বছর আগে চলে আসতে পারেন।
২০. ইম্পোস্টার সিন্ড্রোম (নিজেকে অযোগ্য ভাবা) খারাপ নয়। এর মানে হলো আপনি শিখতে আগ্রহী। "আমি এই শব্দটি পছন্দ করি না। এটা কৌতূহলকে একটি ত্রুটি বলে মনে করায়।"
২১. কাউন্সিল মিটিং (যা স্পিগেল স্কুল থেকে শিখেছেন) টিমকে খোলামেলা আলোচনা করতে এবং বিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে।
২২. বেশিরভাগ মানুষ বোঝে না যে একটি স্টার্টআপ তৈরি করা কতটা আবেগের বিষয়। ইভানকে (স্পিগেল) তাল মেলানোর জন্য নিজের সবকিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে।
২৩. তিনি এতদিন টিকে থাকার একমাত্র কারণ? "আমি যা তৈরি করছি, তার প্রতি আমি গভীরভাবে যত্নশীল।"
২৪. তার ডিএনএ-তে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার তাগিদ রয়েছে। ধৈর্য তার শক্তিশালী দিক নয়।
২৫. বেশিরভাগ কোম্পানির সংস্কৃতি তোষামোদের দিকে ঝুঁকে পড়ে। সিইওদের অবশ্যই এই "ফিল্টারড ফিডব্যাক" (সত্যিকারের মতামত না পাওয়া) ভাঙতে হবে।
২৬. "আপনি যদি বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে কথা না বলেন, তবে আপনি কখনই সত্যটা জানতে পারবেন না।"
২৭. উদ্যোক্তাদের জন্য শেষ পরামর্শ: "নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি যা করছেন তা ভালোবাসেন কিনা। এটাই একমাত্র জিনিস যা আপনাকে চালিয়ে নিয়ে যাবে।"
Comments
Post a Comment