এম্বিশাস লোকদের একসাথে থাকা উচিত

 এম্বিশাস লোকদের একসাথে থাকা উচিত



এম্বিশনের অর্থ কোন কিছু অর্জন করার জন্য প্রবল ইচ্ছা, এবং সেইটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারার মানসিকতা।
এর বাংলা অর্থ উচ্চাকাঙ্ক্ষা, শব্দটারে ঠিকভাবে ধরতে পারে না। উচ্চাকাঙ্ক্ষার নেগেটিভ একটা টোন আছে।
এম্বিশাস থাকা একটা রেয়ার কোয়ালিটি। প্রায় সব লোকেরই বিশাল কিছু করার, বা বিভিন্ন কিছু করার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু ওইটা অর্জন করার জন্য ডিটারমিনেশন থাকবে কম লোকের।
মানুষের বন্ধুত্ব তৈরি হয় একেবারে ইয়াং বয়েসে। এটা প্রায় র্যানডম। ফলে দেখা যায়, এম্বিশাস লোকের বন্ধুবান্ধবেরা ও চারপাশ এম্বিশাস না। এইটা এক মারাত্মক বাজে দশা তৈরি করে।
রামানুজন দুনিয়ার সেরা গণিতবিদ, কিন্তু ইয়াং বয়েসে গণিতের প্রতি তার অবসেশনরে মা বাপ ভালোভাবে দেখেন নাই। তিনি তার চারপাশ থেকে ওই সাপোর্ট পান নাই। তিনি বুঝতে পারছিলেন তার ভেতরের শক্তি, এবং এইটা যে এখানে বিকশিত হতে পারছে না। তাই ক্যামব্রিজে হার্ডিরে চিঠি লিখেন সাহায্যের জন্য। তাদের যখন দেখা হলো, রামানুজন পাইলেন এম্বিশাস সাপোর্টার। ফলে, তিনি দুনিয়ার সেরা গণিতবিদ হিশাবে তৈরি হইতে পারলেন।
এইরকম, অনেক এম্বিশাস লোক তার চারপাশের না-এম্বিশাস লোকদের জন্য হতাশ জীবন যাপন করেন। তাদের প্রতিভা ব্যর্থ হয়। ব্রংস টেল ফিল্মে একটা লাইন ছিল, স্যাডেস্ট থিং ইন লাইফ ইজ ওয়েস্টেড ট্যালেন্ট।
এম্বিশাস লোকের অন্য এম্বিশাস লোকদের সাথে থাকা খুব জরুরী। তখন সে ফ্লারিশ হইতে পারে, পূর্নভাবে বিকশিত হইতে পারে বা তার ফুল পটেনশিয়ালে যাইতে পারে।
আর যখন একটা গ্রুপ থাকে এম্বিশাস লোকের, তারা যখন সবাই বিকশিত হইতে থাকে, একটা ম্যাজিকের মত দেখায় ব্যাপারটা বাইরে থেকে দেখলে।
এইজন্য জিওগ্রাফি অব জিনিয়াস কথাটা আছে। যে জিনিয়াসেরা নির্দিষ্ট টাইমে দেখা যায় একই এলাকাতেই থাকেন।
আপনি এম্বিশাস হইলে প্রধান কাজের একটা, অন্য এম্বিশাস লোকদের সাথে থাকা। না-এম্বিশাসদের সাথে থাকলে হতাশ জিন্দেগী যাপন করবেন। তারা আপনার এম্বিশনকে ছোট করে দেখবে, বা বুঝতে পারবে না।
না-এম্বিশাসরা খাঁচায় জন্মানো পাখির মতো, কেবল উড়ারে অসুস্থতা মনে করে এটাই নয়, নিজেকেও মনে করে খাঁচা। তাই অন্যদের আটকে রাখতে চায়। হতাশা, নেগেটিভিটি প্রচার করে, সাইকোলজিক্যালি দূর্বল করে দেয় এম্বিশাস লোকদের।
এইরকম পরিস্থিতিতে থাকলে সব সময় ফিল করবেন আপনে অনেক কিছু করতে পারতেন, আপনার ভেতরের যে প্রেরণা শক্তি ছিল সামনে যাবার তা ক্ষণে ক্ষণে নিজের অস্তিত্ব জানান দিবে, মাঝে মাঝে দেখাবে যৎকিঞ্চিত স্পার্ক। এইভাবে একসময় নিঃশেষ হবে, আর এই সময়ে আপনি অনুভব করে যাবেন নিজের পটেনশিয়ালিটির ধীর মৃত্যু যন্ত্রণা। এবং, লাইফে সবচাইতে বেদনার হলো, বৃথায় যাওয়া প্রতিভা।

Comments