"কোন লড়াই, কে কবে খুব সহজে জিতেছে"
"কোন লড়াই, কে কবে খুব সহজে জিতেছে"
"কোন লড়াই, কে কবে খুব সহজে জিতেছে"
বস্তির যে মানুষটার ঠাই ছিল না তার গ্রামে, তার কোন কিছুর হারানোর নেই ভেবে আশ্রয় নিয়েছে বস্তিতে। অনেক লড়াই আর কঠিন সময়ের পর মাসিক বাজারটা করতে পারে, এরপর শখের ২ টি জিনিস কিনে।
১,০০০ টাকা ঘরে থাকলে একটা আত্নবিশ্বাস ফুটে উঠে কথায়, কারন তার এক সময় কিছুই ছিল না। ৩ টা বাসায় কাজ করে, আরও অসুস্থ্য বোধ করে, আল্লাহ্কে অভিযোগ জানায়, মানুষ বানিয়েই যেহেতু পাঠিয়েছো , এক ঘরে সব দিয়েছো, আমাকে দাওনি কিছুই। কষ্ট বাড়ে।
সুষম বন্টন বলতে কিছু নেই, দুপুর ৪ টায় মজার ইশকুল :: Mojar School যে খাবার দিচ্ছে চিকেন বিরিয়ানি, ২ টা ডিম, পোলাও, জুস, কেক আবার ৪.৩০ অন্য কেউ দিচ্ছে ১ কেজি মাংস। বস্তির মানুষ গুলো বিরক্ত হয়, রেগে যায়। তাদের হুড়োহুড়ি লাগে, কারন দুটিই তাদের লাগবে। লোভি না তারা। আগামীকাল বা তারও পরের দিন এরা কেউ খোঁজ নিতেও আসে না, আর একই দিনে ডাবল দিচ্ছে, তাই তারাটা একটু বেশী। আমাদের দেয়ার তৃপ্তি আর তারা ডাবল পেয়েও বিরক্ত, মাঝে সুষম বন্টন এর হাহাকার। গ্যাপটা নিয়ে ভাবনা আছে, সমাধান কি আধোও আছে?
যে শিশু আমার হাতে, সে কোলেও কিছু সময় ছিল। বস্তির সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখছিল, এত বড় স্যার ( অন্তত তাদের কাছে ) তাদের কোন শিশুকে আপন মমতায় কোলে নিচ্ছে, বিশ্বাস হচ্ছে না। শতভাগ অবহেলায় এতটুকুন ভালোবাসা দেখা যায় না। অবাক লাগে, বিস্ময় লাগে।
অথচ তারা ভুলে যায় বা মনে করতে পারে না, এই খানিক সময় তো নস্যি মাত্র, আমার একটা জীবন বরাদ্ধ এই শিশুদের হাসি নিশ্চিত করতে। তারা জানে না, এক জীবন দিয়েও এই লড়াই জেতা যায় না, শুধু লড়াই জারি রাখাই সই। কিন্তু লড়াই চলবে, শেষ শিশুটির হাসি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত।
Comments
Post a Comment