হেরে যাওয়ার আগে আমি বলে যেতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এরপর আর করা যায় না। আমার এই হারে আমার কোন দায় নেই, আমি লজ্জিত না ।



আগামী মাসটা কাজের চাপ একটু কমবে, নিজেকে এভাবে প্রবোধ দেই। কিন্তু কম চাপের দিনটা আসে না। শুধু একটা কাজ শেষ হওয়ার পর আরেকটা কাজ এমার্জেন্সি হিসেবে এসে ধরা দেয়। প্রতিটি সফল জার্নির পর ভীষণ ক্লান্ত লাগে, কোন একটা প্ল্যান ডিজাইন করলাম, এরপর পাগলের মত দিন রাত এক করে সেটা বাস্তব হলো। এরপর ক্লান্তি এসে চেপে ধরে, কাজের ঘোরে ক্লান্তি আসলেও হয়তো টের পাই না। ক্লান্ত মানুষ নিজেকে টেনে নিতে পারে না, নিজেকেই নিজের অসহ্য লাগে। এই অসহ্য থেকে বাঁচতে আবার কোন কাজের পিছনে ছুটি, সফল না হওয়া পর্যন্ত।

অবহেলা, ফেলে রাখা আমাকে দিয়ে হয় না।

বিশ্বাসটা হচ্ছে, আমার কাজটা অন্য কেউ করে দিবে না, এরিয়ে গেলে পিছিয়ে যাবই, হয়তো তাৎক্ষনিক দেখতে পাবো না সরাসরি কিন্তু আত্নবিশ্বাস নষ্ট হবে। নিজেকে উজ্জ্ববিত রাখতেই এই বিরামহীন চলা।

আমি জানি, অনেক দূর যেতে বিরতি দরকার। কিন্তু এটা জানি না, কেউ বলেও না ঠিক কতটা বিরতি নিলেও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। হেরে গেলে, পিছিয়ে পড়লে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে মারার দ্বারপ্রান্ত পৌঁছে দেয়ার মানুষ যেহেতু বেশী, সেহেতু লড়াই জারি রাখতে হয়। আমি বিশ্রাম নিতে, কাজ এড়িয়ে যেতে, অযথা সময় নষ্ট করতে ভীষণ ভয় পাই, ভীষণ।

আজকে বৃহস্পতিবার, গত তিন সপ্তাহ মানে টানা ২১ দিন শ্রেফ ৩ দিন মনে হচ্ছে আমার কাছে, শুক্রবারসহ। এর ভিতর অফিসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলাম ২ দিন, শোফায় শুয়ে ছিলাম, ফ্যান থাকার পরে শোফা ভিজে শ্বেত শ্বেতে হয়ে গিয়েছিল। বাসায় যাই শুধু ঘুমাতে। অফিস আর বাসা। সময়ের লাগাম পাচ্ছি না।

এই যে এত কিছু, তবুও বিরক্ত হচ্ছি না। আমার কাছে কাজ কর্মই সব। কর্মহীন মানুষ কতটা অবজ্ঞা সহ্য করে সে একমাত্র সেই জানে।

হেরে যাওয়ার আগে আমি বলে যেতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এরপর আর করা যায় না। আমার এই হারে আমার কোন দায় নেই, আমি লজ্জিত না ।

#এলো_কথা

অন্তু ভাইয়ার ছবি দেয়ার কারন হচ্ছে, সে ভীষণ পজিটিভ মানুষ, যার সাথে কাজ করা আরাম দায়ক। পজিটিভ এনার্জি গেইন করা যায়।

Comments