'জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!’
'জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!’
কবির এই কথা সত্যতা আজকে চোখে আটকে গেলো গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে, বিকাল সাড়ে ৪ টার কিছু বেশী।
কি ভয়ংকর গরম বাংলাদেশের কোন মানুষের জানা বাকী নেই, কোথাও কোথাও গরমে পিচ গলে যাচ্ছে। ৪০-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা! সেই পিচের উপর বুটসহ ভারি পোশাকে রোজা রেখে এভাবে ডিউটি করা, প্রতিদিন।
যাষ্ট ভাবতে পারি না।
পুলিশ বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে, যারা বাহন চালায় তাদের অভিজ্ঞতা কেমন, যারা বাইকার তাদের অভিজ্ঞতা কতটা খারাপ হতে পারে তার ১০ টা এক নিমিষেই বলে দিতে পারি। সে সব বলার কোন ইচ্ছে নেই। পুলিশ নিয়েও লিখতে চাই না।
লিখতে চাই, সেই সন্তান্দের নিয়ে যারা জানে তার বাবা পুলিশ, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে। পরিবারের কর্তা ব্যক্তি বিগত ৫২ বছরের সব থেকে বেশী গরমে ডিউটি করে যখন বাসায় ফিরে নিশ্চয়ই সন্তানেরা চায় বাবা হাসুক, স্ত্রী চায় বাজার সাথে আনুক, স্বজনের খোজঁ নিক, মায়ের ঔষধ শেষ হলে খোজঁ নিক। সাধারণ সময়ের জন্য, স্বাভাবিক চাওয়া।
কিন্তু যদি এমন একজন দুর্ভাগা মানুষও যদি এই পুলিশের পোশাকের ভিতরে থাকে, যাকে কিছু বলার আগে সারাদিন প্রচন্ড গরমে থাকা এই মানুষটা অন্তত সারা রাত না হোক, এক ঘন্টা নিরিবিলি থাকা, একটু চাহিদার গল্প, না পাওয়ার গল্প, বিচার দেয়া থেকে বিরত থাকার সুযোগ যদি না পায়। সে কত দূর্ভাগা, এটা ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।
এই রকম গরমে মানসিক চাপ, শারীরিক দুর্বলতা চরম আকার ধারণা করে, পানি শূন্যতা, মেজাজ খিটখিটেসহ অল্পতেই রেগে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এই সময়ে নিজের একান্ত কিছু সময়, সেটা এক ঘন্টা হলেও খুব জরুরী।
সন্তানেররা, পরিবারের সদস্যরা কি বুঝে? এই লেখাটা যদি একজন সন্তানও দেখে আর বাবা অফিস থেকে আসার পরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি এগিয়ে দেয়। সেই বাবার সকল ক্লান্তি যে হাওয়া হয়ে যায়? এমন মানবিক সন্তান কি আমরা সমাজে গড়ে তুলতে পেরেছি?
আল্লাহ ভাল জানেন।
Comments
Post a Comment