এই লেখাটা মূলত ভালো লাগার ও উপলব্ধির। ভালো লাগা হচ্ছে, আমরা মানে মজার ইশকুল কেন শিশুদের জন্য কাজ করছে তা হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছে, তাদের কৌতূহল নিবারণের জন্য নানান সুন্দর সুন্দর প্রশ্ন করছে, বুঝে নিচ্ছে।
আজকের লেখার প্রেক্ষাপট ১৫ আগস্ট ২০২২ মজার ইশকুলের একটি শাখা মানিক নগরের শিক্ষার্থীদের সাথে কাটানোর সময়ের । এই শাখায় প্রাক - প্রাথমিক থেকে ৪৬৫ জন শিক্ষার্থী পড়ে বিনামূল্যে। মজার ইশকুলের মোট শিক্ষার্থী ২০২২ সালে ২,০০০ জন ।
মূল আলোচনায় আসি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আমি মোবাইল থেকে কিছু দেখাচ্ছি। এখানে ক্লাস সেভেন, সিক্স ও ফাইভের কালচারাল টিম আছে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হতে একটু দেরি আর আমাকে ফ্রি দেখে ক্লাস ফাইভের নদভী আমাকে ডাকে যাতে ওদের সাথে কিছু সময় কথা বলি, তাদের নানান কৌতূহল নিবারণ করি। যাওয়ার পরে তাদের নানান প্রশ্ন ও উত্তর দেয়ার পর সবাই বেশ খুশি ছিল। তাদের শ্রেণী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ছবিতে আমি সবার মধ্যমণি, এটা আবদারে তোলা একটি ছবি। অনুষ্ঠান শেষ টিচার্স রুম থেকে বের হয়েছি, সবাই দৌড় এসে আবদার করলো স্যার আপনার সাথে ছবি তুলবো। কিন্তু আমাকে তো নিয়মিত দেখে, এদের অনেকেই চোখের সামনে বড় হচ্ছে বা বেড়ে উঠছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভালো লাগছিল, যদি জিজ্ঞেস করেন সেলেব্রেটি ফিল হচ্ছিল কি না। উত্তর হচ্ছে, তার থেকেও বেশী কিছু লাগছিল। কারন, কাছের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া কঠিন তারা আপনার নাড়ী নক্ষত্র সব জানে। সব জেনেও যাকে ভালোবাসা যায়। সে অসাধারণ। সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে অসাধারণ মনে হচ্ছিল।
২০১৩ সালে যখন যাত্রা শুরু হয় মজার ইশকুলের, তখন ২০২২ সাল শুধুই ভবিষ্যৎ। কিশোর বা তরুণ বয়সের শ্রেফ পাগলামী বৈ আর কিছু হিসেবে গণ্য হয়নি এই যাত্রা। এবার পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার স্যার যখন ভিডিওতে প্রাউডলি বলতে ছিল ৬০ থেকে ২,০০০ শিশুর আশ্রয় এই মজার ইশকুল, এটা অসাধারণ ঘটনা। স্যার যেভাবে বিশ্বাস আর আস্থার সাথে বলেছেন, তাতে আমার মনে হয়েছে এই গন্তব্য অনেক দূর, কঠিন তবে অসম্ভব মনে করি না। পারি দিতে চাই এই পথ.......
Comments
Post a Comment