৩০ এর বাস্তব জীবনে, স্বাগতম

 

৩০ এর বাস্তব জীবনে, স্বাগতম

৪০ শে জীবন চালশে হয়ে যায় নাকি, অনেকেই সেখান থেকে পুনঃজন্ম হয় শুনেছি, দেখছি।


আমার ৩০ এর পরের জীবনকে বাস্তববাদী জীবন বলতে ইচ্ছে করছে, প্রচন্ড সচেতন থাকার চেষ্টা করছি বাস্তবে ফিরে যাতে অমানুষ না হই। আগেও কিছু বলার আগে অনেক ভাবতাম, সচেতন ভাবে চাইতাম হেরে গেলেও যাতে কেউ কষ্ট না পায়, তাও অনেকেই পেয়েছে। একদম শুন্য রাখতে পারিনি। এই সচেতনতার সাথে চলাকে প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ কঠিন করে দিয়ে গেছেন, “ ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশি। যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না। পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে। ”। রাগি না হলে নাকি সে মিচকে শয়তান। রাগি হলে ভালো মানুষ। অথচ রাগি মানুষ গুলোকে আমার সব থেকে অথর্ব আর অযোগ্য মনে হয়। নো অফেন্স! আমার মনে হওয়ার সাথে কারো মনে হওয়া মেলানোর দরকার নেই।

রেগে গেলে হুশ থাকে না, এক সাথে থাকলে হাড়ী ডুকাডুকি হবেই, সব মনে রাখলে জীবন চলে না বলে যারা গলে পরে এদের আমি সহ্য করতে পারি না ।

কেন জানি মনে হচ্ছে, আগামী এক দশক চুপচাপ থাকবো। পরের দশকে তো আমার প্রয়োজন ফুরোবে নিশ্চিত, সে পৃথিবী হবে তরুণদের, বয়স্কদের দরকার থাকবে না। সব চিন্তাই যদি বেঁচে থাকি। মরে যাওয়ার ইচ্ছা আমার একদম নেই। এত বড় পৃথিবীতে একজন মানুষও মুখ ফুটে বলে আরিফ আপনাকে ভালোবাসি তাকে আকরেও শেষ পর্যন্ত বাচতে চাই।

৩০-৪০ এ পৌঁছানোর এই জীবনে স্বার্থপর যাতে না হই সে দোয়া করি নিজের জন্য। সবাইকে হয়তো আকড়ে ধরে রাখতে পারবো না। আমি কাউকে আকরে ধরে রাখতে চাইলে, তার স্বাধীনতা, অধিকার ক্ষুন্ন হবে। যা অন্যায়। কিন্তু কেউ যদি আমাকে আকড়ে ধরে থাকতে চায়, তাকে যেন আগলে রাখতে পারি।

এত ছোট একটা জীবনে বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু অর্থ দরকার তার আয়োজন করার সব অভিজ্ঞতা আছে বলেই বিশ্বাস করি, যে পোর্টফোলিও না থাকলে আধুনিক যুগে কাজ পাওয়া যায় না তাও আছে। টানা এক প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর শেষ লেভেল থেকে সর্বোচ্চ লেভেলে কাজ করার অভিজ্ঞতা সফলতার সাথে। দুটো খেয়ে পরে বেঁচে থাকার আনন্দ তখনি দ্বিগুণ হয় যখন যার সাহায্য সব থেকে জরুরী তার পাশে থাকার সুযোগ থাথে আর কারো পাশে থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে প্রয়োজন নিজের ভালো থাকা । নিজের ভালো থাকার জন্য প্রয়োজন ভালোবাসা।

#৩০_এ_জীবন #good_memories

Comments