১০০ টাকার বন্ধুত্ব!

 ১০০ টাকার বন্ধুত্ব!



সহজ সত্য, ক্ষুধা লাগছে, ভাত খেতে চেয়েছে। এক সাথে ভাত খেয়েছি।


আমি সাধারণত ৯৯.৯৯% টাইম ভিক্ষা দেই না, বাকী. ০১% খুব বয়স্ক কেউ সামনে পড়লে এড়াতে পারি না বা চাই না। এটা অনেকে শোনার পর ধাক্কা খায়। এত শিশুদের জন্য কাজ করি আর ভিক্ষা দেই না! এখানেই শেষ না, কাউকে ভিক্ষা দিতে উৎসাহিতও করি না।
এই শিশুটির কাছে এখন সময় গুরুত্বপূর্ণ না, ক্ষুধা নিবারণ গুরুত্বপূর্ণ আর আমার কাছে উলটো। বিগত প্রায় বছর খানেক ভাত খাওয়া প্রায় অফ ( ভুরি কমাতে)।

অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ভাত খেতে চেয়ে টাকা চাইলো, দূরে রাস্তার পাশে থাকা হোটেলে খাবে জানালো। খেতে যেতে বললাম, গিয়ে দেখলো শেষ খাবার। কিছু না বলে সামনেই রাস্তায় বসে রইলো। চোখ স্পষ্ট বলছিল সে কত ক্ষুধার্ত। রেখে চলে যাওয়ার ইচ্ছা হয়নি আর আমার অফিস শেষ । দু'জন গিয়ে এক সাথে খেলাম। সে মাছ পছন্দ করলো আর আমি ঢেরশ। এক সাথে খেলাম শিশুটিকে সম্মান প্রদর্শন এর জন্য, তাকে যে দয়া করিনি এটাই ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা ছিল। ভিক্ষা দেয়ার থেকে একটু সময় দেয়াটাই আমার কাছে সব সময় গুরুত্ব পায়। আজকেও একই কাজ করেছি। ভিক্ষা দিলে প্রায়শই নেশার কেনার অর্থের সংস্থান হয়। একটু সময় নিয়ে শিশুর পছন্দ মত কিছু কিনে দিলে রাস্তার শিশুরা একটু ভালোবাসা পায়, ক্ষুধা নিবারণ হয়, আপনার মূল্যবান সময় তাকে ভালো পথে থাকার উৎসাহ দেয়।

ছেলেটিকে দেখে নেশা করে মনে হয়নি, যেহেতু ক্ষুধার্ত আর ভাত তার চাহিদা ছিল সেটাই পূর্ণ করেছি। অহেতুক প্রশ্ন করে বিরক্ত করিনি।
প্রতিটি শিশুর জন্য ভালোবাসা ❤️

নোটঃ যেখানে মজার ইশকুল :: Mojar School এর দিন শুরু হয় ২,০০০ শিশুর জন্য ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়ার, সেখানে একজন শিশুকে নিয়ে আলাদা করে লেখা আমার জন্য বিলাসিতা, যদিও আমার আশে পাশের মানুষরা এই সব বোঝে বলে আমার মনে হয় না।
আর এখন আর লিখতেও চাই না, জনপ্রিয়তা রোগে একবার ধরলে আর বের হতে পারবো না। ফোকাস একবার নষ্ট হলে কোন অজুহাতে হয়তো কাজটি ছেড়ে দিব। অথচ স্বার্থপরের মত ভাবতে চাই এই ২,০০০ শিশুর মজার ইশকুল ছাড়া আর কিছু নাই।


১৪ মে ২০২২ / ৭ঃ৪০ মিনিট
খিলগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ

Comments